-
Md Aslam
আমি এই অংশটা নিয়ে কিছু বলতে চাই। “হোমিওপ্যাথিতে আমরা রোগ নিরাময় করি না, বরং আমরা রোগে আক্রান্ত- রোগী বা অসুস্থ ব্যক্তিকে নিরাময় বা আরোগ্য করি”।
এই কথাটা ঠিক কিন্ত; লোহা যখন চৌম্বকায়িত হয়, তখন সে ম্যাগনেটিক ন্যাচার প্রাপ্ত হয়। তার আগে সে লোহা। ঠিক তেমন করে রোগ শক্তি যখন শরিরে থাকে তখন সে রোগী। মানে (রোগ + মানুষ)= রোগী। সুতরাং রোগী অর্থ হচ্ছে ব্যাক্তি ও রোগের একত্রিত অবস্থান। আমরা কেসটেকিং তারি করি যার শরিরে একই সময় ২ টা শক্তি বর্তমান; রোগ শক্তি + ব্যাক্তির জীবনী শক্তি। আমরা আরোগ্য করতে ব্যাবহার করি অন্য এক ৩ য় শক্তি, মেডিসিন শক্তি। যেটা সিমিলিমাম হতে হবে রোগের শক্তির সাথে তবেই জীবনীশক্তি মুক্ত হবে রোগ শক্তির হাত থেকে। প্রুভিংয়ের সময়, বহিরাগত মেডিসিন শক্তি জীবনী শক্তির উপরে প্রভাব ফেলে যে যে লক্ষন প্রকাশ করে; আমরা সেই লক্ষনের সাথেই রোগীর রোগের লক্ষনের সাথে সিমিলিমাম করি। দুইটা একই সমান শক্তি একই সময় শরিরে থাকলে একটা আর একটাকে প্রতিহত করে। তাই সিমিলার মেডিসিন প্রয়োগ করার পরে রোগ শক্তির সাথে সিমিলিমাম হলেই কেবল রোগী আরোগ্য হয়ে থাকে। আর যদি জীবনী শক্তির সাথে মেডিসিনের সিমিলিমাম হয়ে যায় তবে জীবনী শক্তির বিনাশ ঘটবে মানে রোগী মারা যাবে। তাই আমরা কিন্ত রোগ শক্তির বিরুদ্ধে মেডিসিন শক্তি সিমিলিমাম করে প্রয়োগ করি। তাই আমরাও রোগের চিকিৎসা করি তবে সেটা ডাইনামিক লেভেলে।